Suvendu Adhikari: উপনির্বাচনের আগেই মমতাকে নন্দীগ্রামের হার মনে করালেন শুভেন্দু
ভবানীপুর উপনির্বাচনে এবার সরাসরি মমতাকে চ্যালেঞ্জ জানালেন শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে লড়ার মনোনয়ন জমার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফের তাঁকে নিশানা করলেন বিরোধী নেতা। তাঁর কটাক্ষ, সারাজীবন মমতাকে নন্দীগ্রামের হারের যন্ত্রণা বইতে হবে।আরও পড়ুনঃ এসসি ইস্টবেঙ্গলের প্রথম বিদেশি স্লোভেনিয়ার আমির দারভগসেভিচশনিবার তমলুকের নিমতৌড়ি স্মৃতিসৌধে দলীয় রক্তদান শিবিরে যোগ দিতে এসে শুভেন্দুর বক্তব্য, নন্দীগ্রামে ছুটে চলে এসেছিলেন ভোটে দাঁড়াতে, কয়েকজনের কথা শুনে হেরেছেন। আমাকে সহ্য করতে পারে না। প্রচণ্ড যন্ত্রণাযতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁচবেন কানের কাছে সব সময় এই যন্ত্রণাই থাকবে যে শুভেন্দুর কাছে হেরেছি। এ যন্ত্রণা আপনাকে পিছু ছাড়বে না। শুভেন্দু এরপর বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে যোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গকে তালিবানের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে বিজেপিকে ভোট দিতে হবে। একজন তৃণমূল প্রার্থী খেলা হবে নাম করে এক লক্ষ বিজেপি কর্মীকে ঘরছাড়া করিয়েছেন। অপরদিকে আরেকজন বিজেপি প্রার্থী বাংলার অত্যাচারিত জনগণকে মাঠে ঘাটে ঘুরে ঘরে ঢুকিয়েছেন। অত্যাচারিত মানুষদের পাশে থেকেছেন। ভবানীপুরের লড়াই কার্যত ভোট পরবর্তী অশান্তির বিরুদ্ধে লড়াই। এই লড়াই অভিজিৎ সরকারের মায়ের চোখের জলের লড়াই। মানুষকে ঠিক করতে হবে, ভবানীপুরের মানুষ লক্ষাধিক মানুষকে ঘরছাড়া করা, নারীদের সম্ভ্রম লুঠ করা তৃণমূলের পাশে থাকবে নাকি অভিজিত্ সরকারের মতো মানুষদের পাশে থাকবে।উল্লেখ্য, নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে ১৯৬৫ ভোটে তৃণমূল সুপ্রিমোকে শুভেন্দু ফের ভবানীপুরে তাঁর মুখোমুখি হবেন কি না এ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। যদিও তা নস্যাৎ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কটাক্ষ ছিল শুভেন্দু তো একবার হারিয়েছেন, আর কতবার লড়বেন? এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণে গেলেন শুভেন্দু। তাছাড়া অভিষেক ব্যানার্জিকে ইডির তলব প্রসঙ্গ এলে সাংবাদিকদের কিছুটা এড়িয়ে যান শুভেন্দু। তাঁর কথায়, ২০১১ সালের পরে রাজনীতিতে আসা কোনও ব্যক্তি সম্পর্কে কোনও উত্তর দেব না। নিজের লেভেল বজায় রেখে চলি। ১৯৯৭ সাল থেকে রাজনীতি করছি।